স্যান্টিয়াগোর ফ্লাইট নম্বর ৫১৩ আজও রহস্যময়।১৯৫৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর স্য়ান্টিয়াগো এয়ারলাইন্সের ৫১৩ নম্বর উড়ান মাটি থেকে আকাশে ওড়ে জার্মানি থেকে ব্রাজিল এর উদ্দেশ্যে।
জার্মানির পশ্চিম প্রান্তের শহর আকেন থেকে ব্রাজিলের পোর্তো অলেগ্রিতে যাচ্ছিল বিমানটি। সাধারণ হিসেবে ১৮ ঘণ্টার যাত্রাপথ। তবে ফ্লাইট নম্বর ৫১৩ নাকি গন্তব্যে পৌঁছেছিল ৩৫ বছর পর । বিমান চালক এবং ক্রু সদস্য-সহ ৯২ জন আরোহী ছিলেন বিমানে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অতলান্তিক মহাসাগরের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল বিমানটি। ব্যাস তারপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি, সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
২ বছর ধরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর যখন কোন কিছু পাওয়া গেল না তখন তদন্ত বন্ধ করে দেয়া হলো।
তবে শেষ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায় বিমানের। ৩৫ বছর পর ১৯৮৯ সালে ব্রাজিলের পোর্তো অলেগ্রির বিমানবন্দরের মাথায় চক্কর কাটতে দেখা যায়। ততদিনে স্যান্টিয়েগো এয়ারলাইন্স তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে ।
রানওয়েতে নিখুঁত অবতরণও করে স্য়ান্টিয়েগো এয়ারলাইন্সের বিমানটি।
অবতরণের পর ভিতরের দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন পোর্তো অলেগ্রি বিমানবন্দরের কর্মীরা।বিমানটির প্রতিটি সিটে সিটবেল্ট বাঁধা অবস্থায় বসেছিল সারি সারি কঙ্কাল। এমনকি নিখোঁজ বিমানের ক্যাপ্টেন মিগেল ভিক্টর কারিও কঙ্কালরূপেই। চালকের আসনে বসে থাকা তাঁর কঙ্কালের হাত তখনও ককপিটের কন্ট্রোল বাটনে।
সত্যতা যাচাই: ঘটনাটা কি সত্যি ছিল ?
এই বিবরণ ১৯৮৯ সালে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছিল এক স্থানীয় সংবাদপত্রে। সাপ্তাহিক কাগজটির নাম উইকলি ওয়ার্ল্ড নিউজ। তার প্রথম পাতায় গোটা গোটা অক্ষরে শিরোনাম বেরিয়েছি ‘৯২ টি কঙ্কাল নিয়ে অবতরণ করল পঞ্চাশের দশকের বিমান।
সাপ্তাহিক ওয়ার্ল্ড নিউজ তাদের ট্যাবলয়েডে 'কাল্পনিক গল্প' প্রকাশ করার জন্য কুখ্যাত ছিল। ফ্লাইট 513-এ গল্পটি প্রকাশের চার বছর আগে, তারা প্যান অ্যাম ফ্লাইট 914-এর আরেকটি গল্প প্রকাশ করেছিল, যেটি পুনরায় আবির্ভূত হওয়ার এবং অবতরণ করার আগে 37 বছর ধরে নিখোঁজ ছিল।
সান্তিয়াগো ফ্লাইট 513-এর রহস্যময় গল্পটি 1961-এর 'দ্য ওডিসি অফ ফ্লাইট 33' শিরোনামের দ্য টোয়াইলাইট জোন অনুষ্ঠানের একটি পর্বের মতো অদ্ভুতভাবে অনুরূপ বলে মনে হয় যেখানে বিমানটি "কোনওভাবে, কোনো না কোনোভাবে" 1939-এ ফিরে যায়।
1954 সালের সংবাদের কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে ফ্লাইটটি সত্যিই পাতলা বাতাসে অদৃশ্য হয়ে গেছে। আমাদের কাছে যা আছে তা হল 1989 থেকে বিশ্বাস করার জন্য সংবাদপত্রের ক্লিপিং।
Comments
Post a Comment